হাজী সেলিমের ১০ বছর কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে দেওয়া হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক স্বাক্ষরিত রায়টি বুধবার প্রকাশ করা হয়।

এ মামলায় হাজী সেলিম বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

 

গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রায় ১৪ বছর আগে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন।

 

ওই রায়ে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে জজ আদালতের দেওয়া তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন সেলিম।

 

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় তাকে। এই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিননামা বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশও দিয়েছিলেন হাই কোর্ট।

 

এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর ও তথ্য গোপনের দায়ে তিন বছরসহ মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

 

এর পর ২০০৯ সালের অক্টোবরে রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে হাই কোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবার আপিল করে দুদক।

 

ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের সাজা বাতিলের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

 

এর পর ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি এই মামলায় পুনরায় শুনানি শুরু হয়। এর পর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে ৯ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। ওই রায়ের দিন মামলাটি আদালতের কার্যতালিকায় এক নম্বরে ছিল।  সূএ:ঢাকাটাইমস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দগ্ধ হয়েও শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর চেষ্টা করা শিক্ষিকা মাহরিন লাইফ সাপোর্টে

» জামায়াতের আমির-সেক্রেটারি দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে

» আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের মেডিকেল টিম গঠন

» উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: তিন দিন স্থগিত জুলাইয়ের অনুষ্ঠান

» বিমান বিধ্বস্ত হতাহত পরিবারের পাশে থাকার আহ্বান খালেদা জিয়া

» দগ্ধদের দেখতে নেতাকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করুন: সারজিস

» সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তারা আখের গোছাতে চায়, নির্বাচন চায় না

» নিজেদেরই জবাব দিতে পারছি না, নিহতদের পরিবারকে কী জবাব দেব?

» উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে মানুষের ঢল

» আহতদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনা হবে: আসিফ নজরুল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

হাজী সেলিমের ১০ বছর কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে দেওয়া হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক স্বাক্ষরিত রায়টি বুধবার প্রকাশ করা হয়।

এ মামলায় হাজী সেলিম বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

 

গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রায় ১৪ বছর আগে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন।

 

ওই রায়ে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে জজ আদালতের দেওয়া তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন সেলিম।

 

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় তাকে। এই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিননামা বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশও দিয়েছিলেন হাই কোর্ট।

 

এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর ও তথ্য গোপনের দায়ে তিন বছরসহ মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

 

এর পর ২০০৯ সালের অক্টোবরে রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে হাই কোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবার আপিল করে দুদক।

 

ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের সাজা বাতিলের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

 

এর পর ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি এই মামলায় পুনরায় শুনানি শুরু হয়। এর পর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে ৯ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। ওই রায়ের দিন মামলাটি আদালতের কার্যতালিকায় এক নম্বরে ছিল।  সূএ:ঢাকাটাইমস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com